Published : Tuesday, 4 October, 2022 at 9:22 PM, Count : 274

সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়নি যশোরের বাজারে। মুদি দোকানি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা লোকসানের কথা ভেবে গুদামজাত সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি করছেন। নতুন সয়াবিন তেল দোকানে তোলার পরে নতুন দামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তারা।
সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করলেও তার প্রভাব পড়েনি যশোরের বাজারে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১৭টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৪ টাকা এবং পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬৫ টাকা কমিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। সেই হিসেবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৫৮, বোতলজাত এক লিটার ১৭৮ ও পাঁচ লিটার সয়াবিন ৮৮০টাকা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও যশোরের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি দল বাজার পরিদর্শনে গেলে তাদের অনুমতি নিয়েই সয়াবিন তেল আগের দামে বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন তারা।
ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় দেশে গত কয়েক মাস ধরে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে সয়াবিন তেলের দাম। সর্বশেষ, জুন মাসে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ২১২ টাকায়। তখন বোতলজাত সয়াবিন ২০৫ টাকা লিটারে বিক্রি হয়। জুলাই মাসে সয়াবিন তেলের দাম খানিকটা কমানো হয়। তখন যশোরের বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল দোকানভেদে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ এবং পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়ে আসছে ৯০০ থেকে ৯১০ টাকায়। এরপর ৩ অক্টোবর দাম আরেক দফা কমানোর সিদ্ধান্ত আসে। মঙ্গলবার থেকে তা চালু হওয়ার কথা থাকলেও গুদামজাত সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বড় বাজারের মুদি দোকানি লিটন সাহা বলেন,‘আমরা বেশিরভাগ মুদি দোকানি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল মজুত রেখেছিলাম। যে কারণে লোকসান হবে বলে কেউই নতুন দামে বিক্রি করতে পারছি না। দোকানে নতুন সয়াবিন আনার পর সবাই নতুন দামে বিক্রি করবেন।’ মজুমদার স্টোরের সত্ত্বাধিকারী পার্থ মজুমদার বলেন,‘মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল বাজার পরিদর্শনে আসে। তারা বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। আমরা বেশিরভাগ দোকানি পুরানো সয়াবিন মজুত রেখেছি। তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। আর তাদের আমরা এটাই বলেছি।’ এমএম স্টোরের সত্ত্বাধিকারী প্রতাপ সাহা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিমকে আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানাই। তারা তা মেনে নেন। বৃহস্পতিবার দোকানে নতুন সয়াবিন তেল আনবো আমরা। ওইদিন থেকে নতুন দামে বিক্রি করবো।’
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব গ্রামের কাগজকে বলেন, মঙ্গলবার শহরের বড় দোকানগুলোতে খোঁজ নেয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়েছে আগে থেকে তারা কম দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তারপরও পূজার ছুটির পর বাজারে ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হবে। ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।