অর্থকড়ি
শিরোনাম: খোলপেটুয়ার বেড়িবাঁধে ভাঙন       ঝিনাইদহে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মী বহিস্কার       তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করলেন চীনের রাষ্ট্রদূত       একুশে পদকে প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী আর নেই       করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪০৯       টপ অর্ডার ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিতে বলছেন সাকিব       সেমিফাইনালের পথটা কঠিন হলেও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ       টাইগারদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয় কিউইদের       বাগমারা প্রেসক্লাবে নব-নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা       লালপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন       
৩৪ শতাংশ ই-টিআইএনধারীর খোঁজ নেই
অর্থকড়ি ডেস্ক :
Published : Saturday, 8 October, 2022 at 2:24 PM, Count : 216
৩৪ শতাংশ ই-টিআইএনধারীর খোঁজ নেইবাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানা কাজে দরকার হয় করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন। প্রয়োজনে ই-টিআইএন নেয়া অনেকেই আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। ই-টিআইএনধারী অনেকেই মারা গেছেন, কেউ কেউ বিদেশ চলে গেছেন, আবার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি অনেকেরই।
একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন আসলাম সিকদার। আয়কর রিটার্ন জমা দিতেন নিয়মিত।
দুই বছর আগে মৃত্যু হয় আসলামের, কিন্তু বাতিল করা হয়নি তার আয়কর ফাইল।
কুয়েতপ্রবাসী বাচ্চু মিয়া বিদেশ যাওয়ার আগে জমি কিনতে ই-টিআইএন নেন, কিন্তু রিটার্ন দেননি।
আসলাম, বাচ্চুর মতো লাখ লাখ ব্যক্তি প্রয়োজনে ই-টিআইএন নিলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই সব টিআইএন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এসব করদাতা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে কর অঞ্চলগুলোর জন্য।
বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানা কাজে দরকার হয় করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন। প্রয়োজনে ই-টিআইএন নেয়া অনেকেই আয়কর রিটার্ন জমা দেন না।
ই-টিআইএনধারী অনেকেই মারা গেছেন, কেউ কেউ বিদেশ চলে গেছেন, আবার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি অনেকেরই।
তাদের অনেকের নামে থাকা আয়কর ফাইলও বাতিল করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ই-টিআইএন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিবন্ধন নেয়ার পর খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন টি-আইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ শতাংশ।
বর্তমানে ই-টিআইএনের সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। এর মধ্যে নিষ্ক্রিয় করদাতার সংখ্যা ২৭ লাখ, যা শতকরা হারে ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা প্রায় ৩৪ শতাংশ।
এই ২৭ লাখ বাদ দিলে নিট টিআইএনধারীর সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৫৩ লাখে।
আইন অনুযায়ী, টিআইএনধারী প্রত্যেকের বার্ষিক রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার পরও রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী।
রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বছরে আয়কর রিটার্ন জমার সংখ্যা ২৫ লাখ।
আয়কর রিটার্নের সংখ্যা বাড়াতে এ বছরের বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
রিটার্নের সঙ্গে অ্যাকনলেজমেন্ট বা প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয় ৩৪টি সেবা খাতে। এই উদ্যোগের ফলে এনবিআর আশা করছে, আগামী করবর্ষে আয়কর রিটার্ন বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকেই জমি ক্রয়, গাড়ি কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন সেবা নিতে ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন, কিন্তু বছরের পর বছর রিটার্ন জমা দেননি। আবার অনেকেই মারা গেছেন, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছেন।
‘ওই সব টিআইএন সিস্টেম থেকে বাতিল না করায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এ কারণে নিষ্ক্রিয় নম্বরগুলো কর বিভাগের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিষ্ক্রিয় ই-টিআইএন বাতিল করতে সম্প্রতি কর অঞ্চল থেকে এনবিআরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ই-টিআইএনের সঙ্গে রিটার্ন জমার পার্থক্য নিয়ে বিভিন্ন মহল প্রশ্ন তোলে। ফলে নিষ্ক্রিয় টিআইএন বাতিল করা হলে রিটার্ন জমার হার বেড়ে যাবে।
এনবিআর বলছে, ই-টিআইএন সার্ভারে এটি বাতিলের অপশন বা সুযোগ রাখা হয়নি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বইয়ে করদাতার নাম ও তথ্য নিবন্ধন করা হতো। এতে যে নম্বর পড়ত, সেটাই হতো করদাতার নম্বর। একে বলা হতো জেনারেল ইনডেক্স রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
কোনো কারণে করদাতা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে যাচাই করে সেই নম্বর বন্ধ করে দেয়া হতো।
১৯৯৩ সালে ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের জুলাই থেকে টিআইএন পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা হয়।
১২ ডিজিটের এ নম্বরকে বলা হয় ইলেকট্রনিক ট্যাক্সপেয়ার’স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ই-টিআইএন। স্বয়ংক্রিয় এ পদ্ধতিতে টিআইএন নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের আগস্ট নাগাদ নিবন্ধিত ই-টিআইএনের সংখ্যা ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৪।
সে হিসাবে এক বছরে করদাতা বেড়েছে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬১ বা ১৮ শতাংশ।




« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
 আমাদের পথচলা   |    কাগজ পরিবার   |    প্রতিনিধিদের তথ্য   |    অন লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য   |    স্মৃতির এ্যালবাম 
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন
সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮২, ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Design and Developed by i2soft